চাকরীর প্রস্তুতি বলতে যে পড়াশুনা সেটা আমি শুরু করেছি মাস্টার্স কমপ্লিট করার পরে। সেকেন্ড ইয়ার থার্ড ইয়ারে পড়াশুনা করার সময় আমি নিজেও বুঝতাম না, আসলে কিভাবে কি শুরু করা উচিত।তাই অধম আজকে জ্ঞান দিবে।
প্রথমত, সবকিছুর উপরে আগে জানা উচিত চাকরীর পরীক্ষায় কি টাইপের প্রশ্ন আসে। আজাইড়া জগতের সব টপিক্স পড়ার চেয়ে, আগে জানা দরকার কি কি জিনিস পড়া লাগবে না। এই কারণেই প্রথম দরকার "জব সলিউশন" টাইপের বই।যেমন "প্রফেসরস জব সলিউশন", এখানে গত ৫-১০ বছরের বেশীরভাগ সরকারী চাকরীর প্রশ্ন দেয়া আছে। এটা দেখে আইডিয়া নেইয়া যায় কি পড়ব, কিভাবে পড়ব।
একটা ইংলিশ পত্রিকা , একটা নোট খাতা, একটা মোবাইল ডিকশানারি এপস। প্রথম দিকে ইংলিশ পত্রিকা পড়লে মনে হবে কেও মাথার উপর বাশ দিয়ে মারতেছে। আস্তে আস্তে ঠিক হবে। যে ওয়ার্ড পারো না, সব খাতায় লিখতে থাকো, মুখস্ত করতে থাকো। দুই বছর পরে দেখবে তুমি ইংলিশে বস, মাত্র মাসিক ৩০০ টাকা খরচে ইংলিশ গুরু।
আর ম্যাথ এর জন্য দরকার একটা টিউশনি। ক্লাশ ৫-৮ এর বাচ্চাকে ম্যাথ পড়াও। টিউশন না থাকলে ঐ ক্লাশের বই এনে বাসায় বসে পড়া শুরু করো।
টাকা পয়সা বেশী থাকলে "MP3" সিরিজের এক সেট বই কিনে টেবিলে সাজায়া রেখে দাও। মাঝে মাঝে চোখ বুলাও। ভাল ভাল লেখকদের বই পরো, উপন্যাস, গল্প, নাটক, কবিতা সব পড়ো। যে বই পড়তে জানে না, সে অন্ধ, যে বইকে ভালোবাসে না, সে ভালোবাসাই জানে না।
এগুলা পারলে সাথে সাথে আর কি কি বই কেনা উচিত??? যারা হায়ার লেভেলের, মানে এগুলা বুঝে গেছে, তাদের জন্য যে সব বই দরকার লাগতে পারে।
১. বাংলাঃ সৌমিত্র শেখরের "বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা" বইটা অবশ্য দরকার। হুমায়ুন আজাদের "লাল নীল দীপাবলি" বইটা মজা করে পড়ো, খুব সুন্দর ভাষায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস লেখা আছে। ব্যাকরণের জন্য নাইন-টেনের "বাংলা ব্যাকরন" বই এর উপরে কিছু নাই। আর সাথে জব সলিউশন + MP3 তো আছেই।
২. ইংরেজিঃ "English for competitive exams" হইল ইংলিশের চোতা টাইপের বই। এক বই এ পুরা চাকরীর পরীক্ষার ইংলিশ লিখে রাখছে। গ্রামারের জানতে চাইলে বেস্ট বই হচ্ছে "Cliffs TOEFL" এত্ত সুন্দর করে গ্রামার লেখা বই খুব কমি আছে। "wren & martin" ও কেনা যায়।
৩. সাধারন জ্ঞান(বাংলাদেশ + আন্তর্জাতিক) "MP3" সিরিজের যে বই গুলা বাসায় ছিল, সেগুলা ঝাড়ফুক দিয়ে পড়তে বসে যাও। টাকা পয়সা বেশী থাকলে "প্রফেসরস" সিরিজের বই ও কিনে টেবিলের শোভা বর্ধন করতে পারো। মাসের কারেন্ট ওয়ার্ল্ড কিনে টেবিলের কোণায় রাখো। পত্রিকায় দেশের জ্ঞানী গুনীরা "সম্পাদকীয়"-তে অনেক রসকস বিহীন কথা লিখে রাখে। গিলতে গেলে তিতা লাগবে জানেও গিলতে থাকো, তিতা হইলেও কামের জিনিস।
৪. গণিতঃ ক্লাশ ৫-৮ এর ছাত্র/ছাত্রী না হয় ফ্রী পড়ালে। ম্যাথ সবাই কম বেশী পারে, জানা দরকার কে সবচেয়ে কম সময়ে পারে। প্রেম সবাই করতে পারে, বিয়ে কয়জনে করতে পারে টাইপের।
বাকি যা আছে তা আস্তে ধীরেই হয়ে যাবে। ভাই আমি বি সি এস ক্যাডার না,ফার্স্ট ক্লাশ অফিসার ও না, এইসব জ্ঞান দেয়ার মত কিছুই আমার নাই। বাঙালী সুযোগ পাইলেই উপদেশ দেয়, আমিও সে একই কাতারে। সেকেন্ড ইয়ারে এই উপদেশটা পাইলে আমার অবস্থান আজকে আরো উপরে থাকত।
Friday, January 22, 2016
Monday, January 11, 2016
শুধুমাত্র মেধাবীরাই কি IBA এ চান্স পায় ?
যে কোন লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল diligence বা অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম, লেগে থাকা, কোন অবস্থায়ই quit না করার মানসিকতা। এর সাথে শুধুমাত্র Common Sense যোগ করতে হয়, তাহলেই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ্ !
২০১২ তে আমার ১টা GMAT ব্যাচে ২ জন খুব Weak স্টুডেন্ট ছিল । এরা ক্লাসেও কম বুঝত, এমনকি খুব simple জিনিসও তাদের ২/৩ বার করে বলা লাগতো। তাদের অন্য ফ্রেন্ডরা এ নিয়ে তাদের অনেক Criticize করতো। কয়েক জন পেছন থেকে Tube Light, আদু ভাই এসব কমেন্ট পাস করতো । কিন্তু ঐ ছেলে দুটা দমত না, তারা তাদের মত প্রশ্ন করতো Concept Clear না হওয়া পর্যন্ত। ঝড়-বৃষ্টি কোন কিছুতে আর কেউ না আসুক তারা ২ জন হাজির ! গ্রামার, ম্যাথে, Reading Comprehension এ উন্নতির জন্য তাদের চেষ্টা ছিল অনুকরণীয়। কোন Exercise এ আটকে গেলে ওটা কখনও quit করতো না, বরং না শেষ করা পর্যন্ত লেগে থাকতো।তো যাই হোক তারা দু জনে আবার IBA এর ব্যাপারে উৎসাহী ছিল। যদিও তখনও আমি আইবিএর স্টুডেন্ট ছিলাম না, তারপরও তাদের আগ্রহ দেখে আমার ভালো লাগলো, নানা পরামর্শ দিয়ে হেল্প করতাম । আমি বললাম দেখো আইবিতে পড়ার মত বেসিক এখনও তোমাদের হয় নি, সো আগে DU EMBA টার্গেট করো ,চান্স পেলে Confidence পাবা। November' ১২ তে DU EMBA তে এক্সাম দিলো হয়নি, না দমে উল্টা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে প্রিপারেশন নিলো । ফেব্রুয়ারী-মার্চে'১৩ তে DU EMBA তে এক্সাম দিলো এবং ২ জনেই প্রথম ১০০ মধ্যে ছিল ! মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঐ যে যারা ওদের কটাক্ষ করতো তারা কেউ EMBA তেও ভালো place করতে পারে নি। কারন তারা তাদের caliber নিয়ে Over-confident ছিল। Ultimately পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের জয় হল ।
তাদের একজন GMAT দিয়ে দেশের বাইরে হায়ার স্টাডিজের জন্য চলে গেছে এবং আর ১ জন BIBM এ পড়ছে । তাদের কথাটা just এই জন্য বলা যে, মাত্র ৬ মাসে, নিন্ম মাঝারি মানের ২টা ছাত্র, শুধুমাত্র পরিশ্রম আর চেষ্টার জোরে নিজেদেরকে ১টা ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে !
So অসম্ভব আসলে কিছুই না !!
Sadib
Sunday, January 10, 2016
IBA এর প্রস্তুতিতে কোন বই পড়ব এবং কিভাবে পড়ব
প্রথমেই আসা যাক কোন পার্টের জন্য কি কি বই লাগবে
Mathematics:
1. Previous 10 years questions
2.Official GMAT Review
3.Nova's Math GRE
4. Manhattan GMAT
Analytical Puzzle:
1. Previous 10 years questions
2. GRE Big Book
3.Official GMAT review(Critical reasoning)
4. Barron's GRE (12 th Edition)
Verbal:
1. Previous 10 years questions
Sentence Completion, Analogy, Synonym, Antonym,Reading Comprehension:
1. GRE Big book
2. Barron's SAT
Grammar, Error Detection, Sentence Correction:
1. Cliff's Toefl
2.Official GMAT Review
-----------------------------------
এখন আসা যাক কোন বই কিভাবে পড়বেন
শুরুতে গ্রামার করতে চাইলে Cliff's Toefl আগে পড়ুন । পেজ নাম্বার-৩৯ থেকে শুরু করে পেজ ১৯৬ পর্যন্ত গ্রামারের রুলসগুলো ভালোভাবে পড়ে নিন । এরপর এই বইয়ের মিনি টেস্টগুলো করে ফেলুন । এরপর Official GMAT Review টা ধরতে পারেন । এখানকার কমপক্ষে ১০০ Sentence Correction বুঝে বুঝে করতে পারলে IBA সহ BCS/ Bank Jobs/ EMBA এক্সামের গ্রামার পার্ট নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না ইনশাআল্লাহ্ !
Sentence Completion এর জন্য GRE Big Book এর কোন বিকল্প এখনও তৈরী হয়নি । যদিও আইবিএর sentence completion গুলো আরো সহজ হয় তারপরও প্রেফার করবো Big Book 27 টা টেস্টের কম্পক্ষে ১৫ টা টেস্ট ভালোভাবে শেষ করুন ।
রিডিং কম্প্রিহেনশনের জন্য IBA এর BBA, MBA আগের বছরের প্রশ্নগুলো শলভ করলেই চলবে । তবে বেটার প্র্যাকটিসের জন্য GMAT review দেখতে পারেন ।
এবার আসা যাক ম্যাথ পার্টে । ম্যাথের বেসিক রুলস শিখার জন্য Manhattan GMAT & Official GMAT এর ম্যাথ পার্টের রুলসগুলো ভালোভাবে দেখুন । আর প্র্যাকটিসের জন্য Official GMAT Review এর যে ২২০+ ম্যাথ আছে সেগুলো শেষ করে ফেলুন । এরপর আইবিএর আগের বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখুন ।
এনালাইটিক্যাল পাজলের বেসিক জিনিসগুলো ধরতে Barron's GRE 12 th edition টা দেখতে পারেন । আসা করি কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্ । ফারদার প্র্যাকটিসের জন্য GRE Big Book. ক্রিটিক্যাল রিসোনিংয়ের জন্য Official GMAT.
That's All ! Have a nice preparation !
# Shahriar Ahmed Sadib
Saturday, January 2, 2016
আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার ছয় টিপস
আইবিএ’র বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রী বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক ডিগ্রীগুলোর মধ্যে অন্যতম। আইবিএ-আইটস পরিচয় দেয়ার মধ্যে যে অনুভূতি তা কেবল আইবিএ-আইটসরাই বুঝতে পারে। বর্তমানে যারা চাকরির বাজারের সেরা জায়গাটার জন্য প্রস্তুত হতে চান তাদের জন্য আইবিএ’র নাম নিজের নামের সাথে জুড়ে দেয়াটা দিন দিন প্রয়োজনীয় হয়ে যাচ্ছে। চাকরি করতে যান, আপনার কর্মস্থলেই আপনি পার্থক্যটা স্পষ্ট ধরতে পারবেন।
এই একটা ব্যাপারে অন্তত লোভী হতে পারেন, কথা দিচ্ছি কেউ গালমন্দ করবে না। ভেতর থেকে অনুভব করুন আপনার জীবনেও আইবিএ এমবিএ’র প্রয়োজনটা কত বেশী। ভাবুন, এ সুযোগটা অন্য কাউকে না দিয়ে কীভাবে নিজের করে নিলে ঠিক কোথায় গিয়ে পৌঁছুতে পারেন আপনি! তখন কত সহজে আপনি আপনার স্বপ্নটাকে সত্যি করতে পারবেন।
অতএব, শেষ মূহূর্তের সেরা প্রস্তুতিটা এখনই কৌশলে সেরে ফেলুন। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি নিয়ে আপনাকে কয়েকটি টিপস দেয়ার চেষ্টা করছি মাত্র।
টিপস ০১ : বিশ্বাস সঞ্চয় করুন। শেষ মূহুর্তে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি আইবিএ’র ‘ব্র্যান্ড এম্বেসেডর’ হতে চান কিনা? আপনি এখন কী, সেটা মোটেও বড় কোন ব্যাপার না। বড় ব্যাপার হল আইবিএ-তে ঢোকার পর আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় দেখতে পাবেন সেটা। শেষ মূহূর্তে এ ব্যাপারটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশ্বাস রাখুন, সফলতা আসবেই।
টিপস ০২ : অতীতকে চর্চা করুন। বিগত দশ বছরের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরণ দেখুন। সেগুলোর উপর উপর্যুপরি মডেল টেস্ট দিতে থাকুন। ভুল হলে সঠিক উত্তর বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ সনাক্ত করুন। কমন পড়ার আশা করবেন না, তাহলে আত্মবিশ্বাস হারাবেন।
টিপস ০৩ : ঘড়িকে নিয়ে পরিকল্পনা আঁটুন। কত নম্বরের জন্য কত মিনিট সময় পাওয়া যাবে সেটা নির্ধারণ করুন। আমার অভিজ্ঞতা বলে, ৯০ মিনিটের এমসিকিউ’তে পরীক্ষার হলে ম্যাথের জন্য ৩৫-৪০ মিনিট, অ্যানালিটিক্যাল এবিলিটির জন্য ২৫-৩০ মিনিট এবং ভার্বালের জন্য ২০-২৫ মিনিট নির্ধারণ করলে ভাল ফল পাবেন।
টিপস ০৪ : সব প্রশ্নের উত্তর করবেন না। আইবিএ’র পরীক্ষার বড় বিপত্তিটা হল আপনি সব কিছুর উত্তর জানা সত্ত্বেও সব প্রশ্নের উত্তর করতে পারবেন না। কারণ সময় অত্যন্ত সীমিত। ৪০ মিনিটে যদি আপনি ২২-২৩ নম্বরের ম্যাথ, ৩০ মিনিটে ১২ নম্বরের এনালিটিক্যাল এবং ২০ মিনিটে ২০-২২ নম্বরের ভার্বালও নির্ভুলভাবে উত্তর করতে পারেন, আইবিএ’র ভাইভায় আপনাকে স্বাগতম।
টিপস ০৫ : হোমওয়ার্ক করুন, তবে ঘড়ি ধরে। মনে করুন, আপনি জিম্যাট অফিসিয়াল গাইড থেকে ম্যাথ চর্চা করবেন। তাহলে ৩০টা ম্যাথ ঠিক করে ঘড়িতে স্টপওয়াচ দিয়ে ৪০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা করুন নিজেকে। একইভাবে জিআরই বিগ বুক থেকে দু’টি এনালিটিক্যাল পাজল ঠিক করে স্টপওয়াচে ১৫ মিনিট ধরে পরীক্ষা দিন। উত্তর ভুল হলে একদম ঘাবড়ে যাবেন না। মনে রাখবেন, কেউ সব উত্তর করতে পারলেও সময় নিয়ন্ত্রণের কৌশলে কিন্তু আপনি তাদের চেয়ে এগিয়ে গেলেন।
টিপস ০৬ : স্বপ্ন দেখুন ভোকাবুলারি। ভাল কোন এমবিএ গাইড, প্রতিদিনের ইংরেজি দৈনিক কিংবা ভালো ভোকাবুলারির বই থেকে আপনি অনেক ভোকাবুলারি গত কয়েকদিনে আত্মস্থ করে ফেলেছেন। বাকী কয়েকদিন সেগুলোর উপর চোখ বুলিয়ে যান, নিয়মিত ইংরেজি দৈনিক পড়ুন। নতুন শব্দ পেলে সেগুলো সনাক্ত করে রাতে ঘুমানোর পূর্বে মনে করার চেষ্টা করুন। যদি মনে না আসে বিছানা ছেড়ে ওঠুন, আর বাতি জ্বালিয়ে শব্দ খুঁজে বের করুন। শব্দকে পাশ কাটিয়ে বিছানায় যাবেন না।
নিশ্চয়ই আপনার প্রচেষ্টাতে সফলতা এসে ধরা দেবে একদিন।
জাফর সাদিক চৌধুরী
শিক্ষার্থী, আইবিএ এমবিএ ৫৩তম ব্যাচ
৩৪তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার (সুপারিশপ্রাপ্ত
৩৪তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার (সুপারিশপ্রাপ্ত
Subscribe to:
Comments (Atom)