Friday, February 12, 2016

ছোট্ট একটি কৌশলে মাত্র ৪ সেকেন্ডে আপনাকে পছন্দ করে ফেলবে মানুষটি

প্রথম ধাপ

উন্মুক্ত থাকুন। অর্থাৎ নিজের আচরণ এবং শরীরী ভাষায় বুঝিয়ে দিন যে আপনি অমায়িক। এ কাজটি করার জন্য যে মানুষটির সাথে আপনি দেখা করতে গেছেন, নিজের হৃদয় সেই মানুষের দিকে থাকা জরুরী। হাত বা বাহু বুকের সামনে ভাঁজ করে রাখবেন না। জ্যাকেট/স্যুট পড়া থাকলে তার সামনের বোতাম আগেই খুলে নিন। এছাড়াও তাকে সম্ভাষণ করার সময়ে থাকুন ইতিবাচক।

দ্বিতীয় ধাপ

চোখে চোখ রাখুন। আর এই কাজটি শুরু করা দরকার আপনারই। আর আপনার চোখেও এ সময়ে থাকা উচিৎ ইতিবাচক অনুভূতি। তবে Forbes বলে, খুব বেশি সময় ধরে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। এতে অন্য মানুষটি ভয় পেয়ে যেতে পারে এমনকি আপনাকে অভদ্র মনে করতেও পারে।

তৃতীয় ধাপ

হাসুন তার দিকে তাকিয়ে। এতে তার মাঝে আপনার ব্যাপারে ভালো একটা ধারণা তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, আপনাকে তিনি মনেও রাখবেন অনেক সময়।

চতুর্থ ধাপ

সম্ভাষণ করুন। মূল বইটিতে বলা হয়ছে হাই, হ্যালো এ জাতীয় অভিবাদনের কথা। আপনি অন্য কোনো অভিবাদন ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যে তার সাথে দেখা করতে পেরে বা তার সাথে পরিচিত হয়ে খুব খুশি হয়েছেন তা বুঝিয়ে দিন নিজের কণ্ঠস্বরেই। এরপর আপনি হ্যান্ডশেক করতে পারেন। এটাও একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।
যার সাথে দেখা করতে গেছেন, তার নামটা বলুন, সম্ভব হলে কয়েকবার। বেশ কয়েকজন মানুষের সাথে দেখা হলে প্রত্যেকের সাথে তো আর এভাবে করমর্দন করা যায় না। এক্ষেত্রে বাকি সবগুলো কাজ করুন।

পঞ্চম ধাপ

সেই মানুষটির দিকে ঝুঁকে কথা বলুন। তবে খুব বেশি নয়। নড়াচড়া কম করে মানুষটির দিকে একটু ঝুঁকে কথা বলুন। এতে মনে হবে তার কথা শোনার ব্যাপারে আপনি আগ্রহী এবং আপনি তার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন।
এগুলো ছাড়াও আরও কিছু কাজ আছে, যা করলে একজন মানুষ আপনাকে পছন্দ করবে প্রথম দেখা থেকেই। এগুলোতে চার সেকেন্ডের বেশি কিছু সময় লাগতে পারে, কিন্তু এদের কার্যকারিতা কম নয় তাই বলে। এসব কৌশল জানতে পারা যায় Business Insider, Entrepreneur এবং Inc থেকে।
১) মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনুন
২) শুধু শুনলেই হবে না, কথার মাঝে প্রশ্ন করে বুঝিয়ে দিন আপনার মনোযোগ আছে
৩) প্রশংসা করুন মন থেকে
৪) সমালোচনায় ঘাবড়ে যাবেন না বা রেগে যাবেন না
৫) উপদেশ চান তার থেকে
৬) বারবার তার দিকে তাকান
৭) কথা বলার সময় শুধু মাথা নয়, পুরো শরীর ঘুরিয়ে দিন তার দিকে
৮) খুব বেশি ছটফট করবেন না কথা বলার সময়ে

Monday, February 8, 2016

IBA Tips

কিছুদিন আগে ১টা ছবি শেয়ার করেছিলাম যার বাংলা তরজমা দাঁড়ায়, "আপনি যদি জীবনে এমন কিছু অর্জন করতে চান যা আগে কখনও পারেননি, তাহলে আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যা আগে কখনও করেননি।" এ কথাটার ব্যাপ্তি আসলে কতটুক ? কয়জন ভেবে দেখেছিলেন ? আপনাদের সুবিধার জন্য আমি এ ব্যাপারে সংক্ষেপে কিছু কথা বলছি
১। .আপনার ডেইলি হেবিট বদলাতে হবে । ধরুন, আপনি টার্গেট করলেন, নেক্সট ইনটেকে আইবিএতে ক্লাস করবেন, তার মানে অবশ্যই এই মুহূর্ত থেকে আপনার লাইফ স্টাইল বদলে ফেলতে হবে । আপনি চাইলেই আর ১০টায় ঘুম থেকে উঠতেপারবেন না । আপনি চাইলেই বন্ধুদের সাথে ২ ঘণ্টা আজাইরা আড্ডা মারতে পারবেন না ।
২। 


দৃস্টিভঙ্গি বদলাতে হবে । আমরা অন্যের ইস্যুতে নাক গলাতে অনেক বেশী পছন্দ করি এবং অন্যের উপর নিজের মত চাপিয়ে দিতে অনেক ভালোবাসি । বিপত্তিটা দেখা যায়, যখন দেখি আমি যা ভাবছি দুনিয়া ঠিক তার উল্টোটা ভাবছে । এর ফলে নিজের উপর আনওয়ান্টেড প্রেসার দেকে আনি । সো যে ইস্যুতে আপনার ভুমিকা জিরো বা আপনি কোন প্রভাবই এর উপর খাটাতে পারবেন না সে ইস্যুতে টাইম পাস বাদ দিয়ে দেন ।
৩।


 ব্যার্থতা মেনে নেয়া শিখতে হবে । সব কিছু বাদ দিয়ে লেখাপড়ায় মন দিলাম বাট আমার বেসিক উইক ছিল সো টপিকগুলো বেশ কঠিন লাগছে । বারবার ভুল হচ্ছে । এটা মেনে নিতে হবে । দ্রাস্টিক্যাল ইম্পুরভমেন্ট আশা করা ফেটাল রেসাল্ট নিয়ে আসতে পারে । আপনি হতাশ হতে থাকবেন । অথচ আপনার এই ভুলগুলোকে স্বাভাবিকভাবে নিলে এই প্রেসারটা থেকে বের হয়ে আসতে পারতেন ।
৪।


 ফোকাস ধরে রাখতে হবে । আপনি কতটুক সময় লেখাপড়া করলেন এতা মোটেও কোন ইস্যু না । আপনি যখন লেখাপড়া করছেন না তখন কি আপনার টার্গেটের কথা মাথায় থাকছে নাকি এটা খেয়াল রাখতে হবে ।
৫।


 টার্গেট এচিভ করা শিখতে হবে । নিজেকে খুব ছোট ছোট টার্গেট দিন । যেম্নঃ সকালে বসেই ১০টা টু-ডু লিস্ট করলেন। এর মধ্যে থাকলো ৩০ টা নতুন অয়ার্ড শেখা, ১৫টা গ্রামার প্র্যাকটিস করা, ৩০টা ম্যাথ করা ইত্যাদি । দিন শেষে হিসেব করে দেখুন ১০টার মধ্যে কয়টা পেরেছেন কয়টা বাদ গেছে ।
৬।


 "কাল" শব্দটা বাদ দিতে হবে । যা করার আজকেই করতে হবে । নিজেকে বোঝাতে হবে কাল ১টা মিথ । এতা আসতেও পারে নাও পারে ।
৭।


 এনভায়রনমেন্ট বদলাতে হবে । আপনআর টার্গেট আইবিতে পড়া বাট আপনি সারাদিন টাইম দেন এমন মানুশদের সাথে যারা মিউজিশিয়ান হতে চায় । আপনি ধরে রাখতে পারেন আপনি অলরেডি ৫০% পিছায় গেছেন । সো এমন মানুশদের সাথে টাইম স্পেন্ট করুন যারা আপনারই মত কিছু এচিভ করতে চাচ্ছে ।
আজ এইগুলাই মাথায় আসছে । নেক্সট টাইম আবার হবে ইনশাআল্লাহ্‌ !



হ্যাপি প্রিপেয়ারিং! Thanks to Sadib vai...........

Sunday, February 7, 2016

আইবিএ তে ভর্তি হবার ২ টি উপায়

হেরে যাওয়া মানেই শেষ হয়ে যাওয়া নয় । পাহাড়সম হার কে ঢাকতে একটি সফলতাই যথেষ্ট ! সকল পরিস্থিতিতে যে নিজেকে ধরে রাখতে পারে, আশা টিকিয়ে রাখতে পারে, সেই-ই তো আগামীর সফল মানুষ ।।

 আমি personally বিশ্বাস করি, ঘর থাকলে তার একটা দড়জাও নিশ্চই থাকবে। আর যদি না-ই থাকে তবে একটা দড়জা নাহয় বানিয়ে নিবো ! তবু হাল ছাড়বো না, কখনো না । বড় একটা লাফ দিতে হলে আমাকে আগে দুই পা পিছিয়ে আসতে হবে, তবেই তো পারবো বড় হতে ! 

হার লজ্জার নয়, ঘুড়ে দাড়াতে না পারা টা লজ্জার। হারতে শিখুন, জিতবেন আপনিই ।। আমি আপনার মতো পারিনা, তাই বলে আমি খারাপ?? আলোই কি সবকিছু, অন্ধকার কি কিছুই নয়?? সবকিছুতে কি শুধু গতিই কাম্য, স্থিতি কোথাও কাম্য নয়? অবশ্যই ।।

 জীবন এক বিচিত্র অংক । এই জীবনের অংকটাকে অনেক ভাবেই, অনেক সূত্রেই সমাধান করা যায়। আপনি মানুষ, আপনিই তো সেরা ! টাকা নেই/ভালো চেহারা নেই/গোল্ডেন res।ult নেই তো কী হয়েছে ! স্বপ্ন আছে তো? ওটাকে বাঁচিয়ে রাখুন। বুক ফুলিয়ে বাঁচুন ।

 ALLAH has created you totally different from others i'e you might have something unique,something very special quality...find it..run it. Respect Yourself.


‪#‎Hasan‬ Ul Banna

Friday, February 5, 2016

হীনম্মন্যতা বা অতি আত্মবিশ্বাস নয়

শুরু হয়ে গেছে ৩৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা। অনেকেই এখনো এই পরীক্ষার মুখোমুখি হননি। তাঁদের জন্যই এই মুহূর্তটা হলো পরীক্ষা প্রস্তুতির শেষ মুহূর্ত। পরীক্ষা যত কাছে, চাকরি তত কাছে। গত লেখাটির পর ভাইভা নিয়ে আরও কিছু কথা বলছি।
এক. আপনার ভাইভার ডেটের আগের পাঁচ-ছয় দিনের দুটি ইংরেজি আর দুটি বাংলা পেপারে চোখ রাখবেন। ভাইভার দিন সকালে একটা ইংরেজি ও একটা বাংলা পেপার দেখে যাবেন।
দুই. কিছু বিব্রতকর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন। সেগুলোর প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রাখলে ভালো হয়। যেমন, আপনার বস আপনাকে অবৈধ কাজের নির্দেশ দিলে আপনি কী করবেন—এই জাতীয়।
তিন. আপনি সিভিল সার্ভিসের জন্য অপরিহার্য নন, এটা মাথায় রেখে ভাইভা দিতে যাবেন। আপনার একাডেমিক রেজাল্ট, আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—এ রকম অতীতের বিষয়গুলোর গুরুত্ব অতি সামান্যই। ভাইভা বোর্ডে শুধু ‘আপনি কী’, সেটা দেখা হবে। নিজেকে চাকরির জন্য যোগ্য প্রমাণ করুন।
চার. আপনার রাজনৈতিক অবস্থান যেন কোনোভাবেই আপনার কথায় বোঝা না যায়।
পাঁচ. বোর্ডের স্যাররা যেমনই থাকুন না কেন, আপনি নিজে সব সময়ই খুব ফরমাল থাকবেন। কোনো প্রশ্ন বুঝতে না পারলে, খুবই বিনীতভাবে ‘আই বেগ ইয়োর পার্ডন, স্যার/ ম্যাডাম’ বলে সেটি আরেকবার জিজ্ঞেস করার জন্য অনুরোধ করুন। আপনার হাঁচি দেওয়ার ধরনেও আপনি কতটুকু অফিসারসুলভ ফরমাল, সেটি প্রকাশ পায়।
ছয়. আপনার ক্যাডারের ফার্স্ট ও সেকেন্ড পছন্দ সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পড়াশোনা করুন। আপনার জেলা সম্পর্কে জেলা তথ্য বাতায়ন থেকে জেনে নিন। অনলাইনে পড়াশোনা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দু-একটি প্রামাণ্য বই উল্টেপাল্টে দেখতে পারেন।
সাত. প্রফেশনাল ক্যাডারের ক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাডেমিক সাবজেক্টের বেসিক নলেজ এবং কিছু প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখবেন।
আট. আপনার ভাইভার ডেটের আগে বাজারে অনেক ছোট ছোট নোট টাইপের বইপত্র পাবেন। সেগুলো নাড়াচাড়া করে দেখতে পারেন। তবে ওসব বই থেকে কমন আসে খুব কমই। আসলে ভাইভাতে কী জিজ্ঞেস করা হবে, কী জিজ্ঞেস করা হবে না, এর কোনো নিয়ম নেই।
নয়. ভাইভাতে মার্কস দেওয়া হয় ওভার অল পারফরম্যান্সের ওপর, এখানে কোনো ধরনের সেগমেন্টেড মার্কিং হয় না। যারা ভাইভাতে থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা মার্কস দেবেন, পরে সেগুলোকে গড় করা হবে।
দশ. আপনি কয়টা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন, কয়টা পারলেন না; আপনাকে কত সময় ওখানে রাখা হলো—এসব ব্যাপার অতটা মুখ্য নয়, যতটা মনে করা হয়। আপনি কী বললেন, সেটার চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি কীভাবে বললেন, সেটা। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অফিসারসুলভ কি না, সেটি যাচাই করে দেখা হবে।
এগারো. ভাইভা বোর্ডে বিভিন্ন প্রশ্ন করে এবং পরিস্থিতি তৈরি করে আপনার জ্ঞান, ব্যক্তিত্ব, উপস্থিত বুদ্ধি, উপস্থাপন কৌশল, পরিস্থিতি সামলানোর দক্ষতা, ভদ্রতা, আনুগত্য, স্বচ্ছ চিন্তাভাবনার ক্ষমতা, মানসিক পরিপক্বতা—এসব বিষয়ে ধারণা নেওয়া হবে। আগে থেকেই এসব ব্যাপারে প্রস্তুতি রাখুন। আপনার শারীরিক ভাষার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
বারো. ‘আমি না বুঝে এ রকম একটা পছন্দক্রম দিয়েছি’—এ ধরনের উত্তর আপনার সিদ্ধান্তহীনতার পরিচয় দেয়। আপনার প্রথম পছন্দ যা-ই হোক না কেন, আপনার কাজ হলো, আপনি কেন ওই ক্যাডারে চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি, সেটি আপনার উত্তর দেওয়ার ধরনে পুরোপুরি তুলে ধরা। কোনো প্রকারের হীনম্মন্যতা কিংবা অতি আত্মবিশ্বাস আপনার ভাইভাকে নষ্ট করে দিতে পারে।
তেরো. আপনি উত্তর দেওয়ার সময় যদি দেখেন স্যাররা অন্য কোনো বিষয়ে মনোযোগী, তবে কোনোভাবেই এটা ভাববেন না যে ওনারা আপনার উত্তর শুনছেন না। সাবধানে উত্তর দিন।
চৌদ্দ. ভাইভা বোর্ডে আপনার সঙ্গে যে রকম আচরণই করা হোক না কেন, সেটিকে কোনোভাবেই পারসনালি নেবেন না। আপনাকে যাচাই করার জন্য কিছু আপাত অস্বাভাবিক আচরণ করা হতেই পারে।
পনেরো. বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আপনার যা যা জানা প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে ধারণা রাখবেন। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান স্যারের ‘নাগরিকদের জানা ভালো’ বইটি পড়ে যেতে পারেন।
ষোলো. যেসব চাকরি করলে ভাইভা বোর্ডে যাওয়ার সময় ছাড়পত্র/ অনাপত্তিপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়, কিন্তু সেই চাকরিটির কথা ফরমে উল্লেখ করা হয়নি, সেই চাকরির কথা ভাইভা বোর্ডে না বললেই ভালো। প্রাইভেট জবের কথা বোর্ডে বলা যায়।
সতেরো. যদি পরপর দু-তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারেন, তবে ওই মুহূর্তে সৃষ্টিকর্তা কিংবা আপনার প্রিয়জনের কথা মনে করুন। এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
আঠারো. ‘আপনি এত দিন কী করেছেন?’ এটির উত্তরে ‘টিউশনি করেছি আর বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি’ কিংবা ‘কোনো স্কুলে শিক্ষকতা করছি’—এ ধরনের উত্তরে কোনো সমস্যাই নেই। আপনি যে অবস্থানেরই হোন না কেন, সেটিকেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে তুলে ধরুন।
উনিশ. আপনি যে রকম, সেটাকেই মার্জিতভাবে উপস্থাপন করুন। আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয় কিংবা আপনাকে আপনার মতো থাকতে দেয় না, এমন কিছু করবেন না৷
বিশ. কথা বলার সময় পারিপার্শ্বিকতার দিকে বেশি খেয়াল না রেখে আপনি কী বলছেন, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
একুশ. আপনাকে কী প্রশ্ন করা হবে, কী করা হবে না, সেটি নির্ভর করে আপনাকে দেখে স্যারদের মনে কী ইম্প্রেশন তৈরি হলো, সেটির ওপর। নিজেকে খুবই পরিশীলিতভাবে উপস্থাপন করুন।
বাইশ. আপনি আপনার কাজের প্রতি আন্তরিক, অনুগত, দায়িত্বশীল—এই ভাবটি ফুটিয়ে তুলুন।
তেইশ. ভাইভা দিতে যাওয়ার সময় কিংবা ভাইভা দিতে ঢোকার আগমুহূর্তে ভাইভা নিয়ে পড়াশোনা না করাই ভালো। এতে অনেক সময়ই অহেতুক নার্ভাসনেস বাড়ে।
চব্বিশ. আপনি কোনোভাবেই আপনার বসের চাইতে স্মার্ট নন। বসের সঙ্গে কোনো মান-অভিমান করা যাবে না—এ দুই ব্যাপার মাথায় রেখে ভাইভা দিন।
পঁচিশ. কী জানেন না, সেটা নিয়ে কম ভাবুন। হয়তো আপনাকে সেটি জিজ্ঞেসই করা হবে না।
ছাব্বিশ. আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার সময় এবং আপনি বিদায় নেওয়ার সময় আপনার সম্পর্কে ধারণা জন্মে। ঢোকার সময় হাসিমুখে সালাম এবং বের হয়ে যাওয়ার সময় হাসিমুখে ধন্যবাদ ও সালাম দিতে ভুলে যাবেন না।
লিখিত পরীক্ষায় আপনার মার্কস ভালো হলে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ভাইভায় কে কতটা ভালো করবেন, সেটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে ভাইভার সেই কয়েক মিনিটের ওপর। নিয়মিত চেষ্টা করে যান, নিজের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখুন। জয় আপনার হবেই হবে! আপনার জন্য শুভকামনা রইল।