Saturday, April 30, 2016

ইচ্ছে থাকলে কি না হয়

'' আশা করি ভালো আছেন। আমাকে আপনি চিনবেন না, কিন্তু মাঝে মাঝে আপনার পোস্ট দেখে ইচ্ছে করে আপনার সাথে কথা বলি। তাই আজ ভাবলাম একটু শেয়ার করি কিছু কথা যদি আপনার সময় থাকে। ভাইয়া, আমার যুক্তরাষ্ট্রের খুব ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা। শুরু করেছিলাম কিন্তু পারিনি চালিয়ে যেতে। কিন্তু এখন ভাবছি পুরো দমে শুরু করবো। চাকরী করি বলে কিছুই পড়া হয়নি; অল্প অল্প করে ২০০০ শব্দ মুখস্ত করেছিলাম, মাঝে মাঝে পড়ার চেষ্টা করি এখনো, কিন্তু হয় না।। আপনি যদি আমাকে একটু সময় করে বলতেন কিভাবে শুরু করবো আর কিভাবে আমি সামনে আগাবো তাহলে আমার উপকার হতো। ''

একদিন ওকে আসতে বলি মিরপুরে। ২ ঘণ্টা আড্ডা দিলাম ওকে নিয়ে আমার বন্ধুদের সাথে। আর কথার মাঝে মাঝে ওর ইচ্ছা, বর্তমান প্রোফাইল এসব কিছু জেনে নেই। রেজাল্ট ভালো। ৩.৭৯।
 কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। ও শুরুটা করেছিল ২০১২-তে। তখন অনার্স সবে মাত্র শেষ হলো। দুই মাস জিআরই পড়ার পর চিরায়িত অসচ্ছল পরিবারের কথা ভেবে জিআরই বাদ দিয়ে চাকরী খুজতে লাগলো। কিছুদিন পর সময় মত চাকরীও পেয়ে গেল। তারপর পেরিয়ে গেলো দেড় বছর। সকাল সন্ধ্যা চাকরীর চিরন্তন সময়জালে আটকে আর কিছুই করা হয়নি। মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে শব্দার্থ পড়তো বাসে অথবা অবসর সময়ে। ইচ্ছাটা ভালো ভাবেই জীবিত ছিল।

কথা শেষে বাসায় নিয়ে গেলাম। প্রস্তুতির কিছু প্ল্যান ছিল আমার কাছে। সব কটা ফটোকপি করে দিলাম। কিছু ল্যাপটপ থেকে বইয়ের পিডিএফ সহ যা যা লাগে দিলাম। শুক্র আর শনিবারটা খুব কাজে লাগাতে বললাম। প্রত্যেক
রবিবারে আমাকে আপডেট দিতে বললাম। তারপর এভাবেই চলে গেলো ৮-৯ মাস। জিআরই পরীক্ষার আগে রাত জেগে জেগে মক টেস্ট গুলো দিত চাকরীর জন্য দিনে সময় নেই বলে। শুক্র শনিবার সারাদিন পড়তো।
পড়া ,ভুলে যাওয়া, ভেঙ্গে পড়া সব মনে হতো একাকার হয়ে গেছে এক ইচ্ছের কাছে। তারপর জি আর ই পরীক্ষা হলো। ৩২১।
 টোফেল হলো এক মাস পর। ১০২। তারপর শুরু হলো ইমেইল করা প্রফেসরদেরকে। কেটে গেলো ১ মাস। ২জন প্রফেসরের পজিটিভ রিপ্লাই পেয়ে আমাকে জানিয়েছিল। আর আজ ভোরে অফিসিয়াল Funded Admission-এর কনফার্মেশন ইমেইল পেয়ে আমাকে জানালো। আর বললো ভাইয়া - ''আমার কোন অনুভূতি নেই। সব কিছু যেন অন্যরকম লাগছে এখন। ''

ও পাশ থেকে আবাগের দরুন জড়িয়ে যাওয়া কথা গুলো শুনতে শুনতে মনে হয়েছিলো - মানুষ প্রতিনিয়ত নিজের সাথে কতই না যুদ্ধ করে। আর মানুষই পারে সেটা জয় করতে। কোন কিছুই কাউকে বেঁধে রাখতে পারেনা বেশী সময়। ধৈর্য, ইচ্ছে, আশা, নিরাশা, আক্ষেপ সব কিছু মিলেই হয়তো একদিন এনে দেয় এক ফোটা স্বপ্ন জয়ের আনন্দ অশ্রু।


#roney 

Tuesday, April 26, 2016

চেষ্টা করা

৯৯৯ বার চেষ্টা করার পর ১০০০ তম বারে থমাস এডিসন আবিষ্কার করেছিলেন আমাদের সবার পরিচিত ''বাতি বা ল্যাম্প''। 
কেন এতো বার বিফল হবার পরও চেষ্টা চালিয়ে গেলেন জিজ্ঞেস করা হলে তার উত্তর ছিলঃ '' যত বার আমার চেষ্টা বিফলে গেছে ঠিক ততবারই আমি শিখেছি কত ভাবে ঐ বাতিটি আবিষ্কার করা না যেত। ''

স্টিফেন কিং একজন বিখ্যাত লেখক যার প্রথম লিখা বই CARRIE এতবার এতো প্রকাশনার কাছ থেকে REJECTED হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত সে তার লিখাটি ময়লা আবর্জনায় ছুড়ে ফেলে দেয়। পরে তার স্ত্রী সেটা সেখান থেকে তুলে পুনরায় সাবমিট করে; আর তা প্রকাশিত হয় তখনই ( ১৯৭৩)।

জীবন থেকে পাওয়াঃ 

১। Rejection should never stop you, rather it should encourage you to do more to find out why have you failed.

২। Failure is not a problem at all; rather it is an experience.

৩। People who reject you know nothing about your potential and future. 

৪। Believing in yourself is the key to success in life, doesn't matter what hurdles you are going through.

Sunday, April 24, 2016

ইংরেজি শিখুন মাত্র ২ মাসে

আপনি ইংরেজিতে দুর্বল? অন্যদেরকে অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলতে দেখলে অথবা ইংরেজিতে অনেক ভালো লিখতে দেখলে আপনার মধ্যে হীনম্যনতা ভর করে? নিজেকে ছোট মনে হয়?
এই লেখাটি তাহলে আপনার জন্য। শেখার কোন বয়স নেই। আপনি ইংরেজি এতদিন ভালোভাবে শেখার সুযোগ পান নি,এবার তো পেয়েছেন। তাহলে শুরু হয়ে যাক আজ থেকেই?
অনুসরণ করুন নীচের টিপসগুলোঃ

১) গভীর নিঃশ্বাস নিন, তারপর শুরু করুন বলাঃ 
আপনি ইংরেজিতে কথা বলার আগে যত বেশি চিন্তা করবেন, ততই আপনি নার্ভাসনেসে ভুগতে শুরু করবেন। এতকিছু চিন্তা না করে বলা শুরু করুন। প্রথম প্রথম খুব বেশি পারছেন না? চিন্তার কোন কারণ নেই। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। আজকে ২ মিনিট, কালকে ৫ মিনিট। তারপর ১০ মিনিট, ১৫ মিনিট করে বলার অনুশীলন করুন। নিজেও বুঝবেন না, কীভাবে আপনি ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দে কথা বলতে শিখে গেছেন।


২) ইংরেজি না জানার জন্য নিজেকে অহেতুক দোষারোপ করবে নাঃ
আপনার ইংরেজি জ্ঞানের স্বল্পতা থাকতেই পারে। কিন্তু সেজন্য নিজেকে কখনোই দোষারোপ করবেন না! আপনি তো শিখতেই চাচ্ছেন এখন। কখনো না শেখার চেয়ে দেরিতে শেখাই কি ভালো না?
Please don’t say ‘I DON’T speak English’. Instead you could say:
• “I am learning English. Could you speak a little slower?”
• “I’m sorry, I didn’t understand.”
• “Could you repeat that?”
• “So, you’re saying that…. [rephrase what you heard]”.
• “What does _________ mean?”
.

৩) সবকিছু অনুবাদ করতে যাবেন নাঃ 
আপনার হয়তো মনে হতে পারে, ইংরেজি যখন শিখছিই তখন সব কিছুরই বঙ্গানুবাদ শিখে রাখা দরকার। আপনি চেয়ারকে “কেদারা” বলা শুরু করলেন। অথবা কোন Phrase কে আপনি বাংলায় অনুবাদ করে শেখার চেষ্টা করলেন। ভুলেও এই কাজ করতে যাবেন না। এটা আপনার শেখার গতিকে একেবারেই কমিয়ে দিবে। তার চেয়ে বড় কথা ভালো ইংরেজি জানার জন্য এসব জানাটা মুখ্য কোন বিষয় নয়।
• Listen for words you DO understand
• Use contextual clues… so, if you hear, “There is a big rhinoceros.” If you don’t know what ‘rhinoceros’ means but you see a big animal in a picture, or someone is pointing at something. Use those clues to figure out what it means.

৪) নিজের কানকে প্রশিক্ষিত করুনঃ 
ভালো ইংরেজি জানতে হলে Listening Skill বাড়ান। যত বেশি আপনি নিজ কানে শুনে বুঝবেন, ততই আপনার শেখাটা ত্বরান্বিত হবে। বেশি বেশি ইংরেজি মুভি দেখুন, গান শুনুন, ডকুমেন্টারি প্রোগ্রাম দেখুন। ধীরে ধীরে আপনার Listening Skill অনেক Developed হয়ে উঠবে।

৫) ভুল করার ভয় করবেন নাঃ
মানুষ হয়ে যখন জন্মেছেন, ভুল আপনার হবেই। কিন্তু সেই ভুলের ভয় করে হাত পা গুঁটিয়ে বসেও থাকা যাবে না। ইংরেজিতে কথা বলতে গিয়ে, লিখতে গিয়ে আপনি যত বেশি ভুল করবেন, তত দ্রুতই শিখতে পারবেন। ধীরে ধীরে ভুলের মাত্রা আপনা আপনিই কমে আসবে। আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

৬) চেষ্টা করে যান, ছেড়ে দিবেন নাঃ আপনার হয়তো ইংরেজিতে দক্ষ হতে অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই সময় লাগছে। হতাশ হবেন না। ভেঙে পড়বেন না। সবার শেখার পদ্ধতি এবং সময়সীমা এক নয়। লেগে থাকলে আপনি পারবেনই। এটাই নিয়ম।

৭) ছোট্ট একটি খাতায় Phrase গুলো লিখে রাখুনঃ
ভালো ইংরেজি জানতে গেলে অনেক Phrase জানা জরুরি। কাজেই Phrase শেখার উপর গুরুত্ব দিন। যখনই কোন Phrase চোখে পড়বে, সাথে সাথে একটা ছোট্ট খাতায় টুকে রাখুন। খাতাটা সবসময় নিজের কাছেই রাখুন। অবসর সময়ে উল্টিয়ে দেখুন। কাজে লাগবে।

৮) নেতিবাচক কথা/চিন্তা থেকে বিরত থাকুনঃ 
মনের ভুলেও কখনো নেতিবাচক চিন্তা করবেন না অথবা নিজেকে বলবেন না।
Don’t Say:
• “You will never learn English.”
• “Why do I always make mistakes? I am so stupid.”
• “I never know what to say. English is so hard.”

৯) লক্ষ্য নির্ধারণ করুনঃ 
আপনি কতদিনের মধ্যে নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান, কতটুকু ভালো ইংরেজি জানতে চান তা নিজে নিজেই নির্ধারণ করুন। নিজের সামনে একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনার শেখায় গতি আসবে।

১০) নতুন কিছু করুনঃ 
বৃত্তের বাইরে গিয়ে ভাবতে শিখুন। সবাই যেভাবে শেখে, সেভাবে না শিখে একটু অন্যভাবে শেখার চেষ্টা করুন।
• Try listening to English podcast.
• Take an online English class.
• Listen to music in English.
• Watch TV or news in English.
• Watch YouTube English Lessons
• Take a class from a different teacher.
• Do a language exchange online or in your city
• Find an English speaking friend (native or not)

১১) Grammar বই ছুঁড়ে ফেলুনঃ
“Grammar” নিয়ে শুরুতেই চিন্তা করা শুরু করলে আপনি কোনদিনও ইংরেজি ভালো করে শিখতে পারবেন না। আত্মস্থ করতে পারবেন না। মনে Grammar এর ভীতি নিয়ে না শিখে নতুন কিছু শেখার আনন্দে ইংরেজি শিখুন। ঠিক যেমন ছোট্ট শিশুরা নতুন খেলনা নিয়ে সীমাহীন আগ্রহ নিয়ে খেলে।
শুভকামনা রইলো।

Saturday, April 23, 2016

GRE STORY

ধানমন্ডি থেকে রিকশা নিলাম মিরপুরের দিকে। সাথে এক কাছের ছোট ভাই। সবে মাত্র জিআরই দিল, সাথে IELTS-এ ৮.0 । ''ভাই অনেক আগে থেকে একটা স্বপ্ন ছিল Princeton University-তে পড়বো। জিআরই তে পেলাম ৩১৪। Analytical Writing-এ ৩.৫ । ভাই, স্বপ্নটা বুঝি আর পূরণ হলো না।'' ওর দিকে তাকিয়ে দেখলাম কান্না করে দিবে এমন অবস্থা। ওর মলিন চেহারা দেখে চুপ করে থাকলাম। ওর জন্য খারাপ লাগছিল।
মিরপুর ১০-এ নেমে যাবে ছেলেটা আর আমি যাবো ১১ তে। ওর নেমে যাবার আগে আমি ওকে পিঠে হাত দিয়ে বললাম - ''এখন বাসায় যা, এখন বাজে সন্ধ্যা ৭টা; তুই রাত ১০ টায় Princeton University ওয়েবসাইটে ঢুকবি আর কয়েকজন প্রফেসরকে ইমেইল করবি। ঠিক আছে? '' ছেলেটা রিকশা থেকে নেমে একটু দূরে গেলে আবার ডাক দিয়ে বলি - '' কি?? করবি তো?''
রাত তখন ১২ টা বাজে। হুট করে কল আসলো ফোনে - '' ভাই, ইমেইল করছি। এক প্রফেসর সাথে সাথে রিপ্লাই করছে। আমাকে বললো অ্যাপ্লাই করতে; সে স্টুডেন্ট নিবে এবার। জি আর ই স্কোর নিয়ে কিছু লিখে নাই, কিন্তু Analytical Writing-এ স্কোর কম বললো। বললো ৪.৫ ওদের অ্যাভারেজ স্কোর। ভাই, কি হবে জানিনা; আমি রিপ্লাই পেয়েই খুশি।'' আমি জিজ্ঞেস করলাম কি করবি তাহলে? দিয়ে দে আবার জিআরই নাকি? ফোনের ঐ পাশ থেকে উত্তর আসলো - '' হে হে হে ''।
১ মাস পর। সন্ধ্যে বেলায় ওর ফোন পেলাম - ''ভাই, জিআরই দিয়ে বের হলাম। ৩২৯।'' কিছুদিন পর Analytical Writing ও পেয়ে গেল। 5.5। আমি শুধু বললাম - ''সাবাস !!!''।
Princeton University Admission Process -এ ওর ডিপার্টমেন্ট থেকে ৪ জন এর Short List- এ ঢুকে গেলো ওর নাম। এখন Interview হবে স্কাইপে। কয়েকজন প্রফেসর আর সাথে ক্লাস রুমে থাকবে undergraduate students. সব শেষে কয়দিন পর result আসলো। ওর হলো না আর এতে ওর মনও খারাপ হলো না। ওর প্রফেসর ওকে বললো ওর একটা পেপার থাকলে হয়তো হয়ে যেত।
ও এখন আছে যুক্তরাষ্ট্রের খুব ভালো উঁচু মানের আরেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। হয়তো প্রিন্সটনে হয়নি , কিন্তু ওর ইচ্ছা শক্তি কতই না কাছে নিয়ে গেল ওকে। ওর কথা মনে পড়লে শুধু মনে হয় - ইচ্ছে পূরণের জন্য মানুষ কত কিছুই না করে !! কত কিছুই না এর মধ্য দিয়ে সে খুজে পায়। স্বপ্ন দেখলে বড়ই দেখা উচিৎ।
''Shoot for the moon. Even if you miss, you'll land among the stars.”― Norman Vincent Peale

Monday, April 11, 2016

gre story Roney

ইউডা-তে ফার্মেসি পড়া শুরু করলাম। এমন কোন দিন নেই যেদিন শুনতে হয়নি যে - কেন আমি ওখানে ভর্তি হলাম। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, তাও আবার খুব একটা টাকাওয়ালা ইউনিভার্সিটিও না। চাকরি পাবোনা, কিছু শিখতে পারবো না। জীবনে কিছুই আর হবেনা। কান দিলাম না। কিন্তু মন তো ঠিকই খারাপ হতো। শুরু থেকেই নিজের মত করে পড়তে লাগলাম, চলতে থাকলো সম্পর্ক - আমি, নীলক্ষেত আর ক্লাস। শেষ বছরটিতে চিন্তা করলাম ভিন্ন কিছু করতে হবে, নইলে অন্যদের চাইতে এগিয়ে যাওয়া যাবেনা। আমার বন্ধুদের দেখলাম জিআরই পড়ে চলে গেছে অ্যামেরিকাতে। মাথায় এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। ইউনিভার্সিটিতে খোঁজ নিয়ে দেখলাম কেউ জিআরই দেয় নাই এর আগে। তার মানে কারো কাছে কোন সাহায্য পাওয়া যাবেনা। একটু একটু ঘাটাঘাটি শুরু করলাম; কিন্তু শেষ বছরের কোন সময়ই কাজে লাগাতে পারলাম না। শেষ হলো অনার্স। ইন্টার্ন করলাম।
.
কিছুদিন জিআরই ভোকাবুলারি পড়ে ভয় পেয়ে গেলাম। ১ মাস পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন প্রায়। আমার এক প্রিয় বন্ধুও চলে গেলো অ্যামেরিকা এর মধ্যে। ও চলে যাবার দিন কেন জানি নিজেকে ছোট মনে হলো। খুব খারাপ লাগতো বেশ কয়েকদিন। এতো কিছু পড়লাম এখন কিছু শব্দ মুখুস্ত করতে পারবো না !! আবার টেবিলে ফিরে গেলাম, মনে হলো নিজের মাঝে হারানো শক্তি খুজে পাওয়া দরকার, আমি ফুরিয়ে যাইনি সেটা জানানোও দরকার। শুরু করলাম পড়া। ক্লাস করতাম জিআরই সেন্টারে।
.
ভোকাবুলারি পড়লাম ৪ হাজার, তারপর আরও পড়লাম। ভাবতাম - পড়া হবে না মানে! হতেই হবে। সব পড়ে ফেলব যা আছে। মনে আছে, কিছুদিন চোখে লালবাতি দেখতাম খালি; কারন ডিকশনারিতে A আর B দিয়ে যত শব্দ আছে সব পড়ে ফেলেছিলাম। ঐটার সাইড ইফেক্ট হয়েছিল আর কি !!! তারপর থেকে এতো না পড়ে শুধু জিআরই শব্দগুলো পড়েছিলাম। এতো শব্দ না পড়লেও হয় যদিও; আমি জেদ থেকে একটু বেশী পড়েছিলাম আসলে। ৬ মাসের জিআরই প্রস্তুতিতে মানুষের চাকরি পাওয়া দেখেছি, বিদেশ যাওয়া দেখেছি, গাড়ির সামনে দাড়িয়ে তোলা ছবি দেখেছি, দেখেছি অনেক বিয়ের ছবি।
.
কিন্তু আমার দিন যেত জিআরই আর মানুষের কথা শুনে শুনে। কান তো দেই নি !! শেষটা দেখে নিব ! জি আর ই দিলাম, টোফেল দিলাম, জি আর ই সেন্টারে ক্লাস নেয়া শুরু করলাম, ইউডা-তে শিক্ষকতা শুরু করলাম, ব্যাপন-এ কাজ করা শুরু করলাম, তারপর আমেরিকান সেন্টার আর ইএমকে সেন্টার অফ অ্যামেরিকান এম্বাসি'র জিআরই, টোফেলের ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কাজ করলাম।
শিক্ষা নিজের কাছে। নিজেকে যে শেখাতে পারেনা, তাকে কেউই কিছু শেখাতে পারেনা।

জীবন কি থেমে গিয়েছিলো? স্বপ্নগুলো কি হারিয়ে গিয়েছিলো? মানুষ এক এক সময় এক এক অবস্থার মদ্ধ দিয়ে যায়, ভালো অথবা খারাপ; কিন্তু প্রত্যেকটি অবস্থাতেই ভালো কিছুর চেষ্টা করলে সামনের অবস্থা গুলো ভালো হতে থাকে। চেষ্টা থামিয়ে দিতে নেই। জীবনের জুদ্ধ একবার না বার বার হয়; একবার হারলে পরের বার জিতবো, না হলে পরের বার, না হলে পরের বার; জিততেই হবে।ইচ্ছে যখন মনের মধ্যে থাকে আমি জানি আমি অপ্রতিরুদ্ধ, পৃথিবীর সব অনিচ্ছা এ জুদ্ধে পরাজিত।

Thursday, April 7, 2016

চাকরি প্রার্থীর লাইভ ইন্টারভিউ

ইন্টারভিউ রুমে কি হয়? অনেকের এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। আপনাদের জন্য আজ লিখছি একটি লাইভ ইন্টারভিউ নিয়ে। এক এক জন এক এক ভাবে উত্তর দেন। এই ভিন্নতাগুলো আপনাদের জানা জরুরি। বর্তমানে অনেক ইন্টারভিউ হয় হোটেলের লবিতে। ক্যান্ডিডেটদের চা-নাস্তা দিয়ে রিলাক্সভাবে ইন্টারভিউ নেয়া হয়। কোনো কোনো ইন্টারভিউ ঘণ্টাব্যাপীও হতে পারে। তাহলে চলুন দেখা যাক একটি লাইভ ইন্টারভিউ-এর নমুনা। বিস্তারিত-

শাকিল : আসতে পারি স্যার? 
সিইও : আসুন, বসুন, হোটেলে আসতে বলায় ভয় পেয়েছেন? শাকিল : না স্যার। বরং স্ট্রেস রিলিফের জন্য জায়গাটা ভালোই। সিইও : গ্রেট, সিভি তো ভালোই লিখছেন, মাত্র দুই পেজ কেন? শাকিল : স্যার, আমি দৈনিক যুগান্তরের একটা লেখা পড়ে জেনেছি, ১০ বছর চাকরি করা পর্যন্ত সিভি দুই পেজ থাকা ভালো। সিইও : বাহ, আপনি পড়াশোনাও করেন। আপনি তো ভাই কোম্পানিতে ঢোকার আগেই আমার ভালো চান না (মজা করতে করতে)। সিভি বড় করে লিখবেন, যাতে আমরা সের দরে বেচলে ভালো দাম পাই। বুঝলেন? ইন্টারভিউ দিতে যে দিতে এসেছেন, অফিসে জানে? 

শাকিল : জী না স্যার, জানে না। সিইও : আমি তাইলে ফোন দেই? ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন অফিস ফাঁকি দিয়ে। বলে দেই? শাকিল : আজকে ফোন দিয়েন না, স্যার, কাল ফোন দিয়েন। আজকে আমার স্যার ঢাকার বাইরে। (লক্ষ্য করুন, কিভাবে একটি ট্রিকি প্রশ্ন শাকিল সাহেব সামলালেন) এরপর ধীরে ধীরে সিইও স্যার মেইন প্রশ্নগুলো করলেন, প্রশ্নগুলো আপনাদের জানাচ্ছি। উত্তর ক্যান্ডিডেট সঠিক ভাবেই দিয়েছিলেন। 

১। সেলস ও মার্কেটিংয়ের মধ্যে কি কোনো পার্থক্য আছে? কি মনে হয়? ২। আমাকে এই কলমটি বিক্রি করে দেখাও। ৩। এফএমসিজি থেকে হেবি মেশিনারিজ, সেক্টর চেঞ্জ, আপনি এটা কিভাবে খাপ খাওয়াবেন? ৪।

 কিভাবে মার্কেট রিসার্স করতে হয়? ৫। আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে মার্কেট প্লেয়ার কারা কারা? তাদের শেয়ার কেমন? ৬। কিভাবে ডিস্ট্রিবিউটর তৈরি করতে হয়? জানা আছে? ৭। সাপ্লাই চেইন সেলসের সঙ্গে কিভাবে জড়িত? ৮। অপারেশন ডিপার্টমেন্টের কাজ কিভাবে সেলসের সঙ্গে জড়িত? ৯।

 আমার কোম্পানির প্রোডাক্ট বাজারজাত করতে গেলে আমার কি কি করা উচিত বল তো? ১০। আমাকে একটা ঝডঙঞ এনালাইসিস করে দেখান তো এই ইন্ডাস্ট্রির। ১১। আপনার আগামী ৯০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা কি? এগুলো সেক্টরভিত্তিক প্রশ্ন, তাই এগুলোর উত্তর আর লিখছি না।


 আপনাদের ক্ষেত্রেও এরকম সেক্টরভিত্তিক প্রশ্ন করা হবে, যারা যে পোস্টের জন্য আবেদন করেছেন তাদের সেরকম প্রশ্ন করা হবে। টেকনিক্যাল পোস্টের জন্য টেকনিক্যাল প্রশ্ন, অ্যাকাউন্টসের জন্য ওই রিলেটেড। এরপর সিইও স্যার আবার ফেরত আসলেন ট্রিকি প্রশ্নে। সিইও : আপনার কাছে কে বেশি আপন, কোম্পানি নাকি ডিস্ট্রিবিউটর? শাকিল : অবশ্যই কোম্পানি, কারণ, কোম্পানিই আমাকে বেতন দেয়। কাজেই কোম্পানিই আমার বেশি আপন। (শাকিল শাহেব বোঝালেন তিনি কোম্পানির প্রতি নিবেদিত একজন কর্মী।) সিইও : রাত ১২টায় আপনাকে ফোন করে ডাকা হল, আপনি কি যাবেন? শাকিল : আমি যদি ফোনে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারি তাহলে যাব না, আর যদি তা না পারি, তাহলে যাব। সিইও : কেন যাবেন? রাত ১২টা তো ঘুমানোর সময়। শাকিল : কারণ সমস্যাটা আমার। আমার প্রোডাক্ট, আমার সার্ভিস, আমার এরিয়া, আমার কাজ। কাজেই সেটা আমাকেই মিটাতে হবে। আমি তো সেই দায়িত্ব এড়াতে পারি না। (লক্ষ্য করুন, শাকিল সাহেব বুঝাচ্ছেন উনি পরিশ্রমী এবং একজন নিবেদিত কর্মী) সিইও : ধরুন, সমস্যাটা আপনার না, আরেকজনের। তাহলে কি যাবেন? (লক্ষ্য করুন, সিইও স্যার এবার আরও পেচাচ্ছেন শাকিল সাহেবের উত্তরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য)। 

শাকিল : দরকার হলে যাব, কারণ, আমি আরেকজনের সমস্যায় সাহায্য করলে তিনিও একদিন আমার সমস্যায় সাহায্য করতে আসবেন। (শাকিল সাহেব আবারও সাবলীল ভাবে উত্তর করে বেরিয়ে গেলেন ফাঁদ থেকে। তাছাড়াও উনি বোঝালেন যে উনি সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে পছন্দ করেন) সিইও : আপনার মতে ডিসিশন কি কোম্পানির ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নিচে যাওয়া ভালো, নাকি নিচে থেকে উপরের দিকে আসা ভালো? শাকিল : ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নিচে আসা ভালো। বটম লেভেলের সবার চাহিদা টপ লেভেল নাও পুরা করতে পারে। কিন্তু টপ লেভেলের মেসেজ বটম লেভেলে সঠিকভাবে পৌঁছালে হাঙ্গামা কম হয়। সিইও স্যার আবার সিভিটি দেখলেন। শাকিল সাহেবের সিভিতে কিছু ট্রেনিং উল্লেখ আছে। সিইও : বাহ, আপনি তো দেখি বেশ কিছু ট্রেনিংও করেছেন। ট্রেনিং করা তো বিপজ্জনক। (মজা করে বললেন) কার কার ট্রেনিং করেছেন, দেখি, সেলসের ট্রেনিং করেছেন রাজিব আহমেদের। উনাকে চিনেন? শাকিল : জি স্যার, উনার বই আমি পড়েছি, উনার ট্রেনিংও আমি করেছি। সিইও : এ তো পড়াশোনা করবেন না, আমরা চাই অনুগত লোক। যা বলব, তাই করবেন। ঠিক কি না? বাই দ্যা ওয়ে, আপনার রাজিব স্যার কিন্তু আমার বন্ধু। (স্যার মজা করতে করতে বললেন) শাকিল : জি স্যার, আমি পড়াশোনা করে যা যা জানব, সেটাও আমি তো কোম্পানির কাজেই লাগাব। সিইও : আচ্ছা, আপনাকে পছন্দ হচ্ছে না আমার। আপনি কি আমাকে বলতে পারবেন আপনাকেই কেন নিব? ওই যে আরও লোকজন আসছে, উনাদেরকেও তো নিতে পারি, তাই না? (স্যার একটা মানসিক আঘাত দিয়ে প্রশ্নটা করলেন) শাকিল : আমি স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিয়ের ওপর বিবিএ, এমবিএ করেছি যা এই পোস্টের জন্য চাওয়া হয়েছিল। আগের কোম্পানিতে আমার অ্যাচিভমেন্ট ছিল ১০৭ শতাংশ। 

ইন্ডাস্ট্রি চেঞ্জ হলেও সেলসের বেসিক জিনিসগুলো একই থাকবে। নতুন কিছু লোকের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। আমি বেশ ভালো লোকজনের সঙ্গে মিশতে পারি, কাজেই এটাও আমি খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করে নিতে পারব। আমি এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্টের যেসব কাজ জানি তাও এই পোস্টের জন্য দরকারি। তাই, সব মিলিয়ে আমি নিজেকে এই পোস্টের জন্য যোগ্য ক্যান্ডিডেট বলেই মনে করি। (শাকিল সাহেব নার্ভাস না হয়ে সাবলীল ভাবে এই প্রশ্নটিরও উত্তর দিলেন) সিইও : চাকরি কেন ছাড়তে চান? আগের কোম্পানি কি খারাপ? (মনে রাখবেন, আগের কোম্পানি বা আগের বসের নামে নেগেটিভ কথা কেউ পছন্দ করেন না। আপনি আগের কোম্পানি সম্পর্কে নেগেটিভ কিছু বলা মানে হল, এই কোম্পানি সম্পর্কেও নেগেটিভ কথাই বলবেন। শাকিল সাহেবের মনোভাব জানার জন্যই এই প্রশ্নটি করা হয়েছে। শাকিল : আমি তো বলিনি আমার কোম্পানি খারাপ, তাই চাকরি ছাড়ব। সিইও : তাহলে ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন কেন? শাকিল : স্যার, আপনার কোম্পানি নিঃসন্দেহে দেশের অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি। সবাই বেটার স্কোপ খোঁজে। আমিও তাই এসেছি। যদি সব দিক ম্যাচ করে তাহলে আমি আমার কোম্পানির কাজ বুঝিয়ে দিয়ে যথাযথ নিয়ম মেনেই রিজাইন দিব। সিইও : কয়দিন থাকবেন আমাদের কোম্পানিতে? আবার দুই দিন পর চলে যাবেন না তো? শাকিল : যতদিন আমার কাজ দ্বারা আমার ও এই কোম্পানির উপকার হবে ততদিন থাকব।


 সিইও : ঢাকার বাইরে কাজ করবেন? আপনাকে ঢাকার বাইরে দিব। শাকিল : জী না, স্যার। বাবা-মার দেখাশোনার জন্য একজনকে থাকতে হবে ঢাকায় তাদের সঙ্গে। সিইও : আপনাদের সবার এই এক সমস্যা। ঢাকার বাইরে যেতে চান না, তাইলে বাকি দেশ চলবে কিভাবে? নিজের সম্পর্কে দুইটা বাজে দিক বলেন তো? শাকিল : একটা খারাপ দিক হচ্ছে, আমি কাউকে তেল দিয়ে কথা বলতে পারি না, উচিত কথাটাই বলতে পছন্দ করি। আরেকটা হচ্ছে...। (শাকিল সাহেব দুইটি দিক মনে করতে পারছিলেন না, সিইও স্যার ইতিমধ্যে শাকিল সাহেবকে পছন্দ করেছেন, তাই তিনি শাকিল সাহেবকে সাহায্য করলেন) সিইও : আরেকটা হচ্ছে, আপনি ঢাকার বাইরে যেতে চান না। আপনি নিজেকে ১০ বছর পর কোথায় দেখতে চান? শাকিল : আমি ১০ বছর পর নিজেকে সিইও হিসেবে দেখতে চাই। 


সিইও : সিইও? আপনি সিইও হলে আমি কি করব? (হাসতে হাসতে) শাকিল : আপনার কাছ থেকে শিখব কিভাবে সিইওদের মতো ভাবতে হয়, চলতে হয়। সিইও : নাহ, এটা মানতে পারলাম না। আপনি কি মনে করেন এরকম কম্পিটিটর ক্যান্ডিডেট আমার নেয়া উচিত? শাকিল : জী স্যার, এখনও তো আমি নতুন। মাত্র ৪-৫ বছর কাজ করেছি। এখনও তো স্যার আপনার কম্পিটিটর হইনি। সিইও : আপনার কোনো কিছুই মেলে না, তার ওপর আবার আপনি আমার কম্পিটিটর। আপনাকে নিয়ে তো মহা ঝামেলা, আচ্ছা, আপনাকে বর্তমান কোম্পানিতে কয়টাকা বেতন দেয়? শাকিল : ***** টাকা। (যা পান তার চেয়ে ২০% বাড়িয়ে বললেন) সিইও : আপনি এখন যে বেতন পাচ্ছেন, আমিও সেই বেতনই দিব, তাহলে কি আপনি আসবেন? শাকিল : স্যার, একটু বাড়িয়ে দিলে সুবিধা হতো। সিইও : বাড়িয়ে দিব মানে, কত চান? শাকিল : এখন যা পাই তার চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি হলে ভালো হয়। সিইও : ৩০ শতাংশ বেশি? এই ৩০ শতাংশের থিওরি কোথায় পেয়েছেন? শাকিল : দৈনিক যুগান্তরের চাকরির খোঁজের একটি আর্টিকেল পড়ে জেনেছিলাম। সিইও : আপনারা এত পড়াশোনা করেন। উফ, আচ্ছা, আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার আর কিছু জানার আছে? শাকিল : কোম্পানির পলিসিগুলো সম্পর্কে যদি একটু ধারণা দিতেন। সিইও : আপনি যদি সিলেক্টেড হন, জয়েনের আগে আপনাকে কোম্পানির সব পলিসি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে। তাহলে ভালো থাকবেন, শাকিল সাহেব, আপনার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার কামনা করছি। শাকিল : আপনাকেও ধন্যবাদ স্যার, দোয়া করবেন। (প্রস্থান) শাকিল সাহেবকেই ওই পোস্টের জন্য সিলেক্ট করা হয়। পুরো ইন্টারভিউটি লক্ষ্য করুন, ক্যান্ডিডেট কতটা সাবলীল ছিলেন, সিইও স্যার উনাকে যতবার আটকাতে গিয়েছেন, উনি পজিটিভ উত্তর দিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। বেতন চাওয়ার ক্ষেত্রে উনি এখন যা পান তার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি চেয়েছেন। তার মানে, উনাকে যদি একটু কমাতে বলা হয় উনার হাতেও সেই সুযোগ থাকল। পুরো ইন্টারভিউতে লক্ষ্য করুন, সিইও স্যার কিন্তু শাকিল সাহেবকে মজা করার ছলে মানসিক চাপে রেখেছেন। কোথাও একটু অসাবধান হলেই কিন্তু আর কথা এগুতো না। ক্যান্ডিডেট হিসেবে আপনাদেরও এরকম মানসিক চাপে ফেলা হতে পারে। সিইও স্যার প্রথমে ক্যান্ডিডেটের সিভি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

 সে যে ট্রেনিং করে এটাও তাকে শাকিল সাহেবের প্রতি দুর্বল করেছে। তাই, সিভিকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে, সিভিই আপনাকে ইন্টারভিউ বোর্ড পর্যন্ত নিয়ে যায়। ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে সবাই যে উইন করবেন তা নয়, অনেক জায়গায় অনেক কথা বলে আটকে যেতে পারেন, অনেকে পোশাকের কারণে আটকে যেতে পারেন, অনেকে আচরণগত কারণে আটকে যেতে পারেন। সেই বিষয়গুলো নিয়ে সামনের পর্বগুলোতে আরও লিখব। লেখক : (ট্রেইনার ও প্রফেশনাল সিভি রাইটার), চিফ নলেজ ডিস্ট্রিবিউটর, কর্পোরেট আস্ক। ই-মেইল : niazabeed@gmail.com